তোমার শেষের কথা শুনে আমি কোন জবাব খুঁজে পেলাম না, শুধু চেয়ে রইলাম তোমার পানে তীর্যকভাবে। তা দেখে তুমি বললে, খেয়ে ফেলবেন নাকি চোখ দিয়ে? সোজা কথা সহজভাবে শুনে ভাল লাগল না, তাই না?
আমি তার কোন জবাব না দিয়ে বললাম, তুমি ঠিকই বলেছ। মাঝে মাঝে সত্যিই তোমাকে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছা করে- একেবারে কাঁচা চিবিয়ে।
- কেন? তুমি জিজ্ঞেস করলে আমার দিকে না তাকিয়েই।
আমি বললাম, তোমার নির্লিপ্ততা আমাকে প্রচন্ড শব্দে থাপ্পড় মারে বার বার। চোখের সামনে থেকেও তুমি এতটা দূরে থাক, যা আমাকে অস্থীর করে। আমারই প্রতি আকর্ষণ তোমাকে বারবার আমার সামনে নিয়ে আসে তা তুমি-আমি দুজনেই জানার পরেও তুমি তা আমার কাছ থেকে লুকাতে সচেষ্ট থাক সর্বদা সেজন্য। তখন মনে হয়, তুমি ঠিক আছো; আমিই তোমাকে ধরতে পারি না, যেভাবে ধরতে হয়। তখন ক্ষোভ জমে নিজের প্রতি। পাশাপাশি মনে হয় এর প্রতিশোধ যদি নিতে পারতাম তোমার কাছ থেকে কঠিনভাবে। মনে হয় তোমার হৃদয়কে যদি তেমনভাবে ক্ষতবিক্ষত করে দিতে পারতাম যেভাবে তুমি আমারটাকে করো।
কোন কথা বললে না তুমি আমার কথাগুলো শুনে। চেয়ে রইলে আমার পানে এক দৃষ্টিতে। আমি বললাম, একটা জিনিস আমি এখনো জানি না অনেক চেষ্টা করার পরেও।
- কি সেটা? তুমি তড়িৎ প্রশ্ন করলে।
- কেন তোমার এই অবিরাম প্রচেষ্টা আমার থেকে তোমার আবেগ, উচ্ছাস এবং অনুভূতিগুলোকে লুকানোর। আমি জবাব দিলাম।
তুমি তারও কোন জবাব দিলে না, শুধু চেয়ে রইলে অপলকে। তোমার চেয়ে থাকা চোখে চোখ রেখেই আমি আমার দুহাতে তোমার হাতদুটোকে আবার আমার হাতের মুঠোর মাঝে ভরে নিলাম। মৃদুভাবে নিজের দিকে টেনে নিয়ে আমার দুঠোঁটের পরশ বুলিয়ে দিলাম আলতো করে। সরিয়ে নিলে তুমি তোমার হাতদুটোকে। সরিয়ে নিয়েই একবার দৃষ্টিকে নীচু করে তাকালে তোমার হাতের উপরে। আমি বললাম, I realy need you in my life, বলে তোমার পাশে গিয়ে বসে এক হাত তোমার পিছন দিক দিয়ে ঘুরিয়ে বিপরীত দিকে তোমার হাত আমার মুঠোর মধ্যে নিয়ে তোমাকে আমার বুকের একপাশে চেপে ধরলাম। বাঁধা দেয়ার কোন লক্ষণ তোমার মধ্যে অনুভূত হলো না।
কি যে এক অপার্থীব অনুভব আমার সারা শরীর-মনকে বিদ্যুতের মতো তাড়িত করলো তা আমি বোঝাতে পারবো না। পৃথিবীর সবটুকু সুখাবেশ যেন চারিদিক থেকে ঝড়ের বেগে আমারই পানে ধাবিত হতে লাগলো। দেহের উষ্ণতার অনুভব যে কাকে বলে তা যেন আমার সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠতে লাগলো আমার অনুমতি ছাড়াই। আমি হারিয়ে যেতে লাগলাম আমার চেতনা থেকে। আমার বাস্তবতা আমাকে ছেড়ে পালিয়ে গেল যেন। আমি আমার দেহের গন্ডি ছাড়িয়ে আকাশে উড্ডয়নের সকল প্রস্তুতি যেন শেষ করে আনলাম।
আমার অপর হাত তোমার ডান হাতটি ধরে আমার কোলের উপর নিয়ে এলো এবং বাম হাত দিয়ে তোমাকে মৃদুভাবে আরও একটু বুকের মধ্যে টেনে নিয়ে বললাম, I want you like this in me forever.
তুমি কোন জবাব না দিয়ে হঠাৎ চিৎকার করে উঠলে- খালাম্মা!
আমি জানি না কিভাবে তুমি চিৎকার করার শক্তি পেলে। আমিতো আমার সমস্ত শক্তি খোয়াতে বসেছিলাম, যাকে রোধ করার কোন শক্তি আমি অনুভব করতে পারি নি। তুমিও নিশ্চয় তেমনই অবস্থার দিকে যাচ্ছিলে এবং পুরোপুরি যাবার প্রাক্কালেই তুমি তোমার সমস্ত শক্তি একত্রিত করে চিৎকার করেছিলে। যার ফলেই সে আওয়াজ স্বাভাবিকের চাইতে তীব্র হলো।
আমার বিরুদ্ধে কমপ্লেইন করার জন্যই যে তুমি চিৎকার করলে তাতে আমার কোন সন্দেহ রইলো না। আমি ভয় পেয়ে সরে গেলাম তোমাকে ছেড়ে দিয়ে। তখন তুমি তোমার গলার আওয়াজ সমান রেখে বললে, আর কিছু আছে লাগেজে দেয়ার মতো, নাকি বন্ধ করে দেবো?
বিস্বয়ে হতবাক আমি। তাকিয়ে রইলাম তোমার দিকে বাকরুদ্ধভাবে। তুমি দুষ্টুমির হাসি হেসে বললে, এই হলো আপনার “Forever” এর দৌড়? মনে মনে বললাম, ধন্য নারী! সালাম তোমাদের প্রত্যুৎপন্নমতিকে।
2 comments:
পড়লাম লেখাটা। ভাল লাগল।
www.banglahacks.com
ধন্যবাদ আপনাকে।
Post a Comment