Welcome Text

Welcome you to read daily important topics, quotes, discussion or news. You can share your comments or even new topics you like to be seen by the world

দুই প্রাণ এক অনুভব

সেদিন সকালে কলেজে যাবার উদ্দেশ্যে বের হয়ে রাস্তা থেকে দেখলাম আঃ কাদেরও সাইকেল নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বড় রাস্তার দিকে আসছে। দাঁড়িয়ে গেলাম। সে আসলে একসাথে কলেজের পথে রওনা দিলাম। আঃ কাদের তার মাদ্রাসায় যাবে। দুজন পাশাপাশি সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছি। সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের গেটের সামনের রাস্তায় চোখ যেতেই দেখলাম সোহানা গেট দিয়ে বের হচ্ছে মৃদু পদক্ষেপে।  আমি দেখেই যেমন চমকে উঠার মতো হয়ে গেছি, তাকেও সেরকমই মনে হলো। আমার সাইকেলের গতি স্লো হয়ে গেল। আমি তাকিয়ে আছি তার দিকে, সেও আমার দিকে। আঃ কাদের কিছুটা সামনে চলে গেল আমার থেকে। আমি হাত নেড়ে হাই বললাম, জবাবে সেও হাত নাড়ল। আমার সাইলের গতি স্লো হওয়া সত্ত্বেও তাকে পার হয়ে গেলাম। সে সেখানে দাঁড়িয়েই রইল। রিকসার জন্য অপেক্ষা করবে বুঝলাম। কিছুটা সামনে গিয়ে পিছনে ফিরে তাকালাম।
দেখলাম সে চেয়ে আছে আমার গতিপথের দিকে।
প্রচন্ড রকমের এক ভাললাগা আমাকে ধাক্কা দিল। ইচ্ছা হলো, যাই তার কাছে; তার সাথে কথা বলি। সেও হয়তো তাই চাইবে আমার কাছ থেকে এই মূহুর্তে। কিন্তু না, তা পারলাম না। দুইটা কারণে তা সম্ভব না। সামনে আঃ কাদের। আমাকে পিছনে পড়তে দেখে সে একবার পিছনে ফিরে দেখল। জানি না সে কিছু বুঝল কিনা। দ্বিতীয় কারণ হলো, এতটা আবেগ দেখানো এই মূহুর্তে ঠিক হবে না। যদি রেসিডেন্সের কেউ দেখে ফেলে তো ফল ভাল হবে না- এখনই সবাইকে আমাদের সম্পর্কের কথা জানিয়ের দেয়া কোন বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।
আরও কিছুদূর গিয়ে আঃ কাদের সাইকেল একেবারে স্লো করে চালাতে লাগলো আমি তার কাছাকাছি পৌঁছলে সে বলল, কি হলো? কোন সমস্যা? আমি বুঝলাম সে সোহানাকে দেখেনি। কাজেই আমি যে সোহানাকে দেখে সাইকেল স্লো করেছি সেটা বোঝে নি। আমি বললাম, না, কোন সমস্যা নাই; চলুন। মজমপুর গেটের কাছ থেকে দুজন দুদিকে আলাদা হয়ে গেলাম। আমি দ্রুত কলেজে পৌঁছে সাইকেল স্ট্যান্ডে আমার সাইকেল রেখে বেরিয়ে এলাম। কমন রূমের সামনে দাঁড়াতেই দেখলাম সোহানা রিকসা থেকে নামলো। ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আসছে। আমি এগিয়ে গেলাম তার দিকে- সামনা সামনি হলাম। দাঁড়িয়ে গেলাম দুজনে। তাকিয়ে আছি দুজন দুজনের দিকে- কোন কথা নাই কারো মুখে।
একটু পর সম্বিত ফিরে পেয়ে জিজ্ঞেস করলাম, কেমন আছ?
জবাব দিল
-          ভাল। আপনি?
-          ভাল; সম্ভবত তোমার মতো।
-          কবে এসেছেন বাড়ি থেকে?
-          আমিও কিআপনিকরে বলবো?
-          না, স্যারি। একটু চুপ থেকে বলল, সামনে যাবো?
-          .কে.। বলে হাঁটতে শুরু করলাম। কোন কথা নাই মুখে- দুজনেই চুপচাপ। কিছুক্ষণ পর আমি বললাম, কিছু বলছ না যে? রাগ করেছো আমার উপরে?
-          না। সোহানা বলল।
-          তাহলে বলো বিয়েতে আনন্দ কেমন করলে।
-          বোরিং।
আমরা দাঁড়িয়ে গেছি মেয়েদের কমন রূমে যাবার রাস্তা বরাবর। আমি বললাম মিস করেছো আমাকে?
-          কেন? আমার দিকে তীর্যক দৃষ্টি দিয়ে বলল। আমি একটু ভয় পেয়ে গেলাম- হয়তো বা এখনই কৈফিয়ত তলব করে জিজ্ঞেস করবে, কেন বাড়ি যাবার আগে বলে গেলাম না। কিন্তু না, কিছু বলল না। আমি জবাব দিলাম, জানি না।
-          জান না কেন?
-          তা্ও জানি না। সম্ভবতঃ ভয় করে।
-          কিসের ভয়?
-          তোমার ভয়। তোমার গাম্ভীর্যতার ভয়। তোমার থমথমে চেহারার ভয়।
-          আমিতো কিছু বলিনি, জিজ্ঞেসও করি নি। সোহানা তার গাম্ভীর্য বজায় রেখে বলল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, ক্লাশ কখন?
-          এইতো এখনই। তোমার?
-          আমারও ক্লাশে যাবা এখন?
-          তুমি? সোহানা জবাব না দিয়ে জিজ্ঞেস করল।
-          ক্লাশে মন বসবে না এখন। জানি না কি করবো। আমি বললাম।
-          কেন?
-          তুমি জান, কেন। তার চোখে চোখ রেখে জবাব দিলাম। কিন্তু জবাবে কিছু বলল না শুধু চোখ তুলে আর একবার আমার চোখের দিকে তাকানো ছাড়া।
-          আমি বললাম, বসবা ওদিকে গিয়ে?
দৃষ্টি আমার চোখের উপরে রেখে বলল, ক্লাশে যাবো না?
-          না।
-          কেন?
-          মন বসবে না।
-          কার?
-          আমাদের। সোহানা আমার কথার কোন জবাব না দিয়ে চুপ করে থাকল। তারপর ধীরে ধীরে সামনে এগুতে লাগল। আমিও ওকে অনুসরন করে হাঁটতে থাকলাম। হাঁটতে হাঁটতে বলল, হঠা হাওয়া হয়ে যাওয়াটা কি ইচ্ছাকৃত?
-          হ্যাঁ। আমি দুঃখিত তোমার পেরেশানির জন্য। ইচ্ছা ছিল তুমি জানার আগেই চলে আসবো, কিন্তু পারি নি। যখন আসতে পারলাম তখন তুমি নাই। ভালই প্রতিশোধ নিলে তুমি আমার অপরাধের।
-          আমি কোন প্রতিশোধ নেই নি।
-          আমার কাছেতো প্রতিশোধের মতোই লাগল।
বসবো আমরা এখানে? হাঁটতে হাঁটতে কিছুটা সামনে গিয়ে বসার মতো একটা জায়গা দেখিয়ে বললাম। ওর সম্মতির প্রেক্ষিতে আমি পকেট থেকে আমার রূমালটা বিছিয়ে দিয়ে বললাম, প্লিজ...। সোহানাও তার রূমাল বের করে বিছাতে উদ্যত হতেই আমি রূমালটা তার হাত থেকে নিয়ে নিলাম। হাতের খাতাটা নীচে গাছের গুড়ির কাছে রেখে গুড়ির উপর বসে ওকেও বসতে বললাম। সে আমার বিছানো রূমালটা হাতে তুলে নিয়ে তার খাতার একটা পৃষ্ঠা ছিড়ে তাতে বসল। আমি তার রূমালটাকে দুহাতের মাঝখানে নিয়ে মৃদু হেসে বললাম, এটা বসার জন্য নয়।
তার হাতে ধরা আমার রূমালটা আমাকে দেখিয়ে বলল, এটা?
-          তুমি যদি ওটার উপরে বসতে তবে ধন্য হতো। তুমি না বসে হাতে রেখেছো তাতে সে পুলকিত হচ্ছে। যদি আদর করো তবে খুশিতে পাগল হয়ে যাবে।
-          আচ্ছা বুঝলাম। তাহলে এটা আমার কোলের উপরে থাক। কোলের উপরে থাকলে কি হবে তুমি বলো নি।
-          বলব?
-          না।
-          শুনতে চাও না?
-          না, কিন্তু আমরা ক্লাশে যাচ্ছি না কেন বলতো।
-          ক্লাশে গেলে দুজন দুজনকে কাছে পাবো না, তাই। খুব সহজ।
-          কি হবে কাছে না পেলে?
-          কাছে পাওয়ার জন্য উদগ্রীব হবো
-          কেন?
-          জানি না। হয়তো আমাদের মধ্যে পাগলামীটা বেশী মাত্রায় ভর করছে দিন দিন, তাই।
-          তোমার কি তাই মনে হয়?
-          তোমার তা মনে হয় না?
-          আমি জানি না এর জবাব। তবে আমি এটুকু বলতে পারি, সেদিন তোমার সাথে কথা হবার পর হঠা যখন তুমি উধাও হয়ে গেলে তখন থেকে তোমাকে দেখার জন্য আমার সমস্ত চেতনা উন্মূখ হয়েছিল। আমি জানি না কেন এমন হলো গেটের সামনে তোমাকে দেখে খুশীতে পাগল হবার উপক্রম হয়েছিল আমার। এতখানি আবেগ আমার মধ্যে আমি কখনো দিখিনি আগে। আমি জানি না কেন এমন হচ্ছে, তবে এমনটি যে হচ্ছে তা নিশ্চয় তুমিও বুঝতে পারছ।
আমি জানি না, তুমি আমাকে ফালতু মেয়েদের একজন ভাবছো কিনা আমার এই আচরণে। কিন্তু তোমাকে আমি এতটুকু বলতে পারি যে, আমি এমন নই। আজ যে তোমার বিনা আহ্বানেই আমি এখানে এসে তোমার সাথে বসে সময় কাটাচ্ছি, এটা আমার জীবনের প্রথম; কখনো এমনটি আমি ভাবিও নি। জানি না এ কোন্ যাদু তুমি আমার উপর করেছো।
-          সোহানা! কোন যাদু না তুমি আমাকে করেছ, না আমি তোমাকে। কিন্তু আমার অবস্থাও তোমার চাইতে ভিন্ন নয়। বাড়ি থেকে ফিরে কলেজে এসে যখন শুনলাম তোমার সাথে এক সপ্তাহ পর্যন্ত দেখা হবার কোন সম্ভাবনা নাই তখন আমার অবস্থা এমন হয়েছিল যে, কলেজে থাকতে পারিনি আমি- চলে গিয়েছিলাম।
-          যদি যাদু না হয় তবে কি এটা?
-          তুমি জান না কি এটা?
-          না; আমারতো কখনো এমন হয়নি আগে কখনো তোমার হয়েছে?
-          না। এর নাম হলো, LOVE.
-          মানে?
-          মানে, we are in love.
-          Are you sure?
-          About me, I am sure. You can tell about you.
-          I don’t know, but if it is LOVE then we are in big problem. কেউ আমাদেরকে গ্রহণ করবে না।
ওর সরলতায় আমি অবাক হলাম। কি বলবো বুঝতে পারলাম না। আমি বললাম, তাহলে?
-          জানি না। কিন্তু এতটুকু জানি যে, যে অনুভব একান্তভাবে আমার হয়ে গেছে তাকে সরানো কোনভাবেই আর সম্ভব নয়। তোমাকে সেদিন কলেজে না পেয়ে আমার মনের অবস্থা যে কি হয়েছিল তাতো আমি ছাড়া আর জানে না- তাকে উপেক্ষা করার কি কোন উপায় আছে? তোমার দেখা না পেয়ে আনোয়ার স্যারকে এবং আঃ কাদের হুজুরকে যে অশরীরি শক্তি আমাকে বাধ্য করেছিল তার বিরুদ্ধে লড়ার শক্তি আমি কোথায় পাবো? গ্রামের বাড়ি যাবার জন্য সদা আগ্রহাহ্নিত আমার মধ্যে থেকে কিভাবে তোমাকে না দেখে সকল আগ্রহ দূর হয়ে গেল তার জবাব আমাকে কে বলে দেবে? বাড়ি যেয়ে প্রায় এক সপ্তাহকাল আমার জন্য যে কতটা কষ্টের মধ্যে ফেলে দিয়েছিল তা তোমাকে কিভাবে বোঝাবো?
এই যে এতকিছু, এর সবতো শুধু আমার জন্য- আমার একান্ত। সবটুকু ভাললাগা যেমন একান্তভাবে আমার, সকল অনাগত বাধা-বিপত্তি যাই আসুক না কেন তাও হবে সম্পূর্ণরূপে আমার। কেউই আমার এসবের সাথী হবে না। এমন কি তুমিও না। আমি সেটাই বলতে চেয়েছিলাম। ভয় থেকে নয়, বাস্তবতাটাকে চিন্তা করছিলাম মাত্র।
-          আমি কেন নই? আমি সর্বদা তোমার সাথেই আছি সোহানা। যে ভাললাগার এক অপ্রার্থিব আবেশে তুমি আমাকে ভরে দিয়েছ, তাকে ভুলে থাকা আমার জন্য কোন দিনই সম্ভব হবে না; আর আমি তা চাই্ও না। যতক্ষণ তুমি আমার সাথে আছো আমাকে আমি কোনদিনই তোমার থেকে আড়াল করব না।
আর একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা তোমাকে বলি। কালকের কথা কালকের জন্য রেখে দিয়ে আজকের করণীয় ঠিক করি। আজকের বাস্তবতা হলো, তুমি আমার অনুভব, আমি তোমার অনুভব। আমাদের ভাললাগা যেমন এক, আমাদের ভালবাসাও এক। এক বিন্দুতে এসে আমরা এক হয়ে গেছি
এখন প্রশ্ন হলো, আমরা আমাদের এই আবেদনে কেমন রেসপন্স করবো। আমরা এর সাথে যাবো কি না যাবো সেটা আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

  
-          এটা কি সিদ্ধান্তের উপরে নির্ভর করে বলে মনে করো?
-          তা মনে করি না। তবে আমাদের ইচ্ছার উপরে আমাদের অধিকার কিছু না কিছুতো অবশ্যই আছে। সেটাকে আমরা কতটুকু প্রয়োগ করতে পারি সেটা হলো কথা। কিন্তু এখন ওকথা থাক। এখন বলো, বিয়েতে কেমন মজা করলে। বোরিং কেন বললে এর আগে? আত্মীয়-স্বজনের বিয়েতেইতো মানুষ এনজয় করে। নিজের বিয়েতেতো সেটা করতে পারে না। দুষ্টামী করে বললাম।
-          নিজের বিয়েতে কি হয় আমি জানি না; তোমার হয়তোবা অভিজ্ঞতা থাকতে পারে।
-          আমার অভিজ্ঞতা কিভাবে থাকতে পারে? আমি কয়টা বিয়ে করেছি তোমার ধারনা?
-          একটাও না।
-          তাহলে?
-          তাহলে কিছু না। বাড়িতে গিয়ে কি কি করলে?
বাড়িতে গিয়ে কি করল তা এতদিন পরে মনে থাকে? হঠা নাবিলার কথা শুনে আমরা দুজনেই ওর দিকে তাকালাম। আমাদের দুজনের কেউই খেয়াল করিনি তার আগমন আমরা তার দিকে তাকাতেই সে আবার বলে উঠল, ক্লাশ তাহলে এখানেই চলছে?
-          ফাস্ট ক্লাশ শেষ? সোহানা জিজ্ঞেস করল নাবিলাকে তার কথার কোন জবাব না দিয়ে
-          না, তোর জন্য অপেক্ষা করছে। নাবিলা হেসে বলল।
-          তো তুই এখানে কি করছিস? সেকেন্ড ক্লাশে যাবি না?
-          অবশ্যই যাবো। দেখতে আসলাম তোমাদের কাহিনী খতম হলো, নাকি।
-          আমাদের কাহিনী খতম হওয়ার সাথে তোর কি?
-          আমার কিছুই না; কিন্তু প্রয়োজনের সময়তো ডাক আমারই পড়ে তোমাদের খোঁজ দিতে।
-          তোর মাথা। যা ক্লাশে যা।
-          তুই যাবি না?
-          আমি যাবো? আমার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন
-          তুই যাবি কিনা সেটা আগে ঠিক কর, তারপর উনাকে জিজ্ঞেস কর। আমি কিছু বলার আগেই নাবীলা সোহানাকে বলল। আমি বললাম, বসবেন নাকি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই কথা বলবেন? সোহানা বলল, বসা লাগবে না। চল্ আমিও যাচ্ছি। আমি তাকালাম ওর দিকে। সে তখন একটু নরম সূরে বলল, যাই? আমি বললাম, যেতে চাইলে অবশ্যই যাবে
-          রাগ করে বলছ, নাকি খুশী মনে? সোহানা বলল,
-          রাগ করে যেমন নয়, খুশী হয়্ওে তেমন নয়।
-          তাহলে?
-          কিছু না। কখন মিলবো আবার?
-          ক্লাশের পরে। তোমার ক্লাশ নাই এখন?
-          আছে।
-          তাহলে চলো যাই।
-          আমি যাবো না, তুমি যাও।
-          কেন?
-          যেতে ইচ্ছা করছে না তাই।
সোহানা উঠে পড়েছিল চলে যাবার জন্য। আমার কথায় আবার বসে পড়ে বলল, তাহলে আমিও যাব না।
-          আচ্ছা। আমি বললাম। নাবীলা বলল, বুঝা গেছে তোর যাওয়া হবে না এখন। আমি চললাম, বাই।
নাবীলা চলে যাবার পরে আমরা আরও অনেকক্ষণ ওখানে বসে রইলাম। বিভিন্ন রকমের কথা বললাম দুজনে। আমার কথা ওকে বললাম ওর কথা ও আমাকে ক্লাশে আমরা কেউই গেলাম না সেদিন। দ্বিতীয় ক্লাশ শেষ হবার আগেই আমরা ওখান থেকে উঠে অন্য দিকে গেলাম।

No comments: