প্রথম যেদিন তোমাকে দেখেছিলাম সেদিনই তোমাকে খুব ভাল লেগেছিল। তোমাকে দেখেই আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমার বন্ধুরাও। এত মিষ্টি একটা মেয়ে! হঠাৎ করে দেখে খুবই আকর্ষণীয় লাগছিল তোমাকে। ছোট ছোট চুল, পরিপাটি করে সর্ট স্কার্ট পরা, যা তোমার শরীরের সাথে খুব মানিয়েছিল। হালকা একটু তোতলানো তোতলানো কথা বলা যা তোমাকে অন্য সব ছেলে মেয়েদের থেকে আলাদা করে দেয়। আমার এক বন্ধুতো বলেই ফেলল, আরে! এটা এতক্ষণ কোথায় ছিল আমাদেরকে ফাঁকি দিয়ে? আমরা সবাই হেসে দিয়েছিলাম তার কথায়।
সেই ছোট্ট তুমিটি আজ আর নেই- বড় হয়ে গেছো অনেক। কারো হৃদয়ের রাণী হবার মতো বড় হয়ে গেছো বেশ আগেই। কিন্তু কেন জানি আমি তা টেরই পাই নি। ছোট থেকে দেখতে দেখতে সময় পেরুতে থাকলেও তুমি যে দিন দিন সেই ছোট্টটি আর থাকছো না তা টের পাই নি। টের পেলাম তখন যখন তোমার এক ক্লোজ রিলেটিভ একদিন তোমার আম্মাকে বকুনী দিল তোমার স্কার্ট পরা এবং উড়না না পরার কারণে। তখন বুঝলাম কেন তোমাকে দেখতে ভাল লাগার অনুভবটা দিন দিন বাড়ছে বেশ অনেক দিন ধরে।
তারপর তোমাকে আবার যখন দেখলাম তখন আমার দৃষ্টি আমাকে বলল, গোলাপ এবার তার পাপড়ী মেলে পৃথিবীকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করার জন্য প্রস্তুত। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সৌন্দর্য তোমার দেহের সন্ধান পেয়েছে। সেই সৌন্দর্য দিয়ে পৃথিবীকেই পাগল করতে তুমি তৈরী হয়ে গেছো।
সুন্দর এই পৃথিবী, সুন্দর এই পৃথিবীর সকল সৌন্দর্য। কিন্তু পৃথিবীর সব সুন্দরের বড় সুন্দর হলো, ফুটন্ত গোলাপ কুড়ির ন্যায় কৈশরের আবরণ ভেদ করে যৌবনের সিঁড়ীতে প্রথম পা রাখা সুন্দরী ললনা, যার উপস্থিতি জগত-সংসারকে ভরিয়ে দেয় স্বপ্নীল খুশিতে, যার অনুপস্থিতি জীবনের রঙিন স্বপ্নগুলোকে ঢেকে দেয় বিষাদের গাঢ় চাদরে। সৌন্দর্যের পূর্ণতার জন্য শিল্পীর নিপূণ তুলির সব শেষ আঁচড়টা মনে হয় তখনই দেয়া হয়। শরীরের সৌন্দর্যের পাশাপাশি তার চেহারা, তার চাহনী, তার কণ্ঠ সবখানেই সৌন্দর্যের পূর্ণতার প্রতিফলন। লজ্জ্বামিশ্রিত উৎসুক চাহনী পৃথিবীকে প্রথমবার নিজের মতো করে চিনতে আগ্রহী হয়। দুনিয়ার সমস্ত সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে আরও বেশী সুন্দর করে তুলে ধরতে আগ্রহ বোধ করে এবং সচেষ্ট হয়। সুন্দর পৃথিবীর এক অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশিদার হিসাবে নিজেকে ভাবতে শেখে, ভাবতে ভালবাসে। সবাই তাকে গুরুত্ব দিক এটা সে তার মনের অজান্তেই আশা করে। কেউ তাকে তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখুক বা তাচ্ছিল্য করুক এটা সে মেনে নিতে পারে না। নিজের অবস্থানকে সর্বদাই মর্যাদার আসনে বসিয়ে ভাবতে ভালবাসে।
আমি দেখেছি তোমাকে সেই দিনগুলোতে খুব কাছ থেকে। আমি অবলোকন করতাম তোমার প্রতিটা মুভমেন্ট। ভাল লাগতো তোমার চালচলনের পরিবর্তন দেখতে; ভাল লাগতো তোমার কণ্ঠের পরিবর্তন শুনতে। অনুভব করতে ভাল লাগতো, তোমার উপস্থিতি কেমন করে সবাইকে সজাগ করে দিত, বনের মাঝে নূপুরের তালে ময়ূরপাখি হঠাৎ করে তার পেখমগুলোকে মেলে ধরে নৃত্যের প্রস্তুতিকালে যেমন করে প্রকৃতি অবাক হয়ে দেখে তার চারপাশের আর সবকিছুকে ভুলে গিয়ে। শব্দযন্ত্রের কি বোর্ডে আঙ্গুল ছোয়ানোর আগেই যেন সূরের মূর্ছনা তোমার চারিপাশকে বিহ্বল করে দিত। মূর্তিময় ছন্দ যেন তোমাকে ঘিরে এক মায়াময় সূরের মুর্চ্ছনায় জগতকে থামিয়ে দিত।
আমি দেখতাম অবাক হয়ে। আমি অনুভব করতাম গভীরভাবে। হারিয়ে যেতাম তোমার তৈরী সৌন্দর্যের মাঝে। লীন হয়ে যেতাম তোমার তৈরী সূর-তরঙ্গের মাঝে। দৃষ্টি শুধু তোমাকেই খুঁজতো। শ্রবণেন্দ্রিয় শুধু তোমাকেই শুনতে চাইতো। হালকা প্রশাধনের ছড়িয়ে দেয়া সুবাশ তোমার উপস্থিতির আগেই বলে দিতো তোমার আগমণ বার্তা। তোমার পায়ের নূপুরের মৃদু আওয়াজ পৃথিবীকে থামিয়ে দিতো তোমাকে স্বাগত জানানোর জন্য।
সমস্ত পৃথিবী চাইতো তুমি যেখানে যাও সেখানেই তোমাকে ধরে রাখতে। তুমি যেখানেই যেতে পৃথিবীর সৌন্দর্য যেন সেখানেই পূর্ণতা পেতো। তোমার অনুপস্থিতি যেন সেই সৌন্দর্যের পূর্ণতাকে আবারও অপূর্ণ করে দিতো। তাই সমস্ত পৃথিবী তার সকল আকুতি দিয়ে শুধু তোমাকেই চাইতো। কিন্তু তুমি...? তুমিতো তখন চঞ্চলা হরিণীর মতো- এক জায়গায় স্থির থাকতে তখনো শেখো নি। সবেমাত্র উড়তে শিখেছো- থেমে থাকার জন্য নও। কোন অপূর্ণতাকে পূর্ণতা দিয়ে নিজেকে স্থবির করার জন্য নও। তাই তুমি সর্বদা উড়তেই থাকতে ছন্দময় গতিতে রঙিন প্রজাপতির মতো। পৃথিবী যে এত সুন্দর তা অনুভব করা যেতো; অনুভব করা যেতো সুন্দর পৃথিবীতে তুমি কত সুন্দর। বোঝা যেতো পৃথিবী কত গভীরভাবে তোমাকে চায়, জানা যেতো পৃথিবীর কাছে তুমি কত দামী।
তোমার মোহনীয় রূপের বিচ্ছুরণ সবারই চোখেমুখে খুশির ঝিলিক এনে দিত। তুমি হাসতে..., খেলতে..., দুষ্টুমী করতে। তোমার সাথে প্রকৃতি হাসতো, বাতাস খেলা করতো, অন্ধকার লজ্জা পেতো নিজের আঁধারের কথা মনে করে। তোমার নূপুরের তালে তালে বাতাসের মর্মর ধ্বনি একাকার হয়ে যেতো, তোমার সুমিষ্ট হাসির হিল্লোলিত শব্দ-তরঙ্গ বাতাসের বুকে ঢেউ তুলতো সুললিতভাবে বয়ে যাওয়া ছোট ছোট ঝর্ণার গতিতে। তোমার সুবাসিত উপস্থিতি গোলাপের গন্ধকে উপহাস করতো। তোমার দু’ঠোঁটের মাঝের প্রস্ফুটিত স্নিগ্ধ হাসির রেখা আকাশের রঙধনুকে তার দীনতার কথা স্মরণ করিয়ে দিতো। চোখের তারায় উপচে পড়া অপার সৌন্দর্য্য গোধূলীর আকাশের সৌন্দর্যকে ম্রিয়মান করে দিতো। হারিয়ে যেত চারিদিকের সমস্ত গর্বিত সৌন্দর্যের বাহার তোমার মোহনীয় রূপের উচ্ছলতার মাঝে। পৃথিবী ধন্য মানতো তোমাকে পেয়ে।
আর এভাবে তুমি রাঙিয়ে দিতে আমার পৃথিবীকে, আমার ভালোলাগাকে, আমার অনুভূতিকে। আমার সমস্ত অনুভূতি শুধু তোমারই উপস্থিতির অনুভব ধরে রাখার জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকতো। হারিয়ে যেতো তোমার মাঝে, ভুলে যেতো আপনার জগতকে।
স্কার্ট পরা খাট চুলের ছোট্ট মেয়েটিকে প্রথম যেদিন দেখেছিলাম সেদিনই মনে হয়েছিল, আরও একবার দেখি। শুধুই ভাললাগার দেখা, আর কিছু না। ভালোতো লাগতেই পারে, কিন্তু তোমাকে দেখে যে ভাললাগা অনুভব করেছিলাম তার রূপ ছিল কিছুটা ভিন্ন। না, তখন বুঝতে পারি নি সেটা কি। কিন্তু যখন বুঝলাম তখন দেখলাম তুমি অনেক দূরে।
তারপর দেখতে দেখতে বড় হতে লাগলে তুমি আমারই চোখের সামনে। কথা বলা, হাঁটা-চলা দিন দিন আকর্ষণীয় হতে থাকলো। খাটো চুলগুলো আর সেই আগের মতো খাটো রইলো না। বক্ষদেশ স্ফীত হয়ে অভাবনীয়রূপে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে লাগল। তোমাকে ধন্যবাদ তুমি এই সময়টায় কোন বাড়তী কাপড় ব্যবহার করতে না। আমার জন্য? না, আমার জন্য না। কিন্তু ভাবতে অসুবিধা কোথায় যে সেটা ছিল আমারই জন্য? গোলাপ কুড়ি পাপড়ী মেলার আগে যে আকর্ষণ দিয়ে পৃথিবীকে আকৃষ্ট করে তুমিও তাই করতে আমার পৃথিবীকে। বার বার ফিরে যেতো আমার দৃষ্টি তোমার দিকে। কোথায় তোমার কেয়ার?
পৃথিবীর কোন কিছু যে এত সুন্দর, এত মোহনীয় তা আগে কে জানতো? পৃথিবীর রূপ যে এত সুন্দর তা এর আগে কখন দেখলাম? এই নশ্বর পৃথিবীতে এমন কিছুরও বাস আছে যা অন্য সব কিছুকে ভুলিয়ে দেয় তা আগে কীভাবে জানবো? তুমিই আমার পৃথিবী- তোমার সৌন্দর্য্য দিয়েই আমি পৃথিবীর সৌন্দর্য অনুভব করতে পারি। তোমার সৌন্দর্যে আকুল না হলে হয়তো জানতেই পারতাম না যে, পৃথিবী এত সুন্দর।
তুমি সুন্দর, সুন্দর তোমার দেহ শৈষ্ঠব। তোমার হাসি, তোমার চঞ্চলতা, তোমার ছন্দময় বেড়ে উঠা সবই। সুন্দর তোমার পরশ; আরও সুন্দর আমার ভিতরের তোমার পরশ পাবার আকুতি। সুন্দর তুমি; কিন্তু তারও চাইতে সুন্দর আমার মনে লুকানো তোমার সৌন্দর্য পানের পিপাসা। এই পিপাসা আছে বলেই তুমি সুন্দর। তোমার সৌন্দর্য্য পিপাসাই যদি না থাকতো তবে কি মানে তোমার সৌন্দর্য্যের? তোমার চঞ্চলা হরিনীর মতো ছুটে ছুটে বেড়ানো অবশ্যই মোহনীয়; কিন্তু এই মোহনীয়তার মাঝে কবিতার ছন্দ খুঁজে পাওয়া তারও চাইতে মোহনীয়।
আমি জানি তুমি জানতে না তুমি আমাকে কতখানি আকর্ষণ করছো তোমার পাপড়ী লুকানো রূপ দিয়ে। কেউ তার বাগানের প্রিয় পুষ্পবৃক্ষের প্রথম ফুলকুড়িটির বেড়ে উঠাকে যেভাবে আগ্রহ নিয়ে দেখে থাকে আমি তারও চাইতে অনেক বেশী আগ্রহ নিয়ে তোমার বেড়ে উঠাকে দেখতাম। পৃথিবীর সমস্ত সৌন্দর্য্য যে একটু একটু করে তোমার চেহারা-শরীরে জমা হচ্ছিল প্রতি দিন তা আমার দৃষ্টিকে ফাঁকি দিতে পারতো না কখনো।
তোমাকে আমি বেশীরভাগ সময়ই দেখতাম স্কার্ট পরা। স্কার্ট তোমার সম্ভবত খুব প্রিয় পোশাক। হয়তো বা তুমি জানতে এই স্কার্ট তোমাকে কত বেশী সুন্দর করে উপস্থাপন করতো সেজন্য সেটা তোমার এত প্রিয় ছিল। তোমার শরীরের যে অংশগুলো তোমার পোষাক ঢেকে রাখতো তার সৌন্দর্য্য প্রকাশ হওয়াকে রোধ করতে পারতো না তোমার পোশাক। আবার যে অংশগুলোকে ঢাকতে অপারগ হতো সেগুলোর সৌন্দর্য্য ভিন্ন রূপ নিয়ে ধরা দিত। তোমার সুন্দর হাতের আঙ্গুলগুলো থেকে শুরু করে সুদীর্ঘ বাহু, তোমার সুন্দর পায়ের পাতা থেকে শুরু করে আরও উপরে যতদূর দেখা যায়, তোমার চেহারা, গ্রীবা, ঘাড়, কান গলা এবং তার নীচের প্রকাশমান অংশ, যা তোমার পোশাকের অন্তরালে পৃথিবীর সকল সৌন্দর্যের রাণীর চৌহদ্দিতে গিয়ে মিশেছে। স্ফীত হতে থাকা বুকের অপার সৌন্দর্যকে মনে করিয়ে দিতো তোমার গ্রীবার নীচের দৃশ্যমান ঐ মসৃন অংশ। আহ্বান জানাতো তোমার সৌন্দয্যের মোহনীয় রূপকে উপভোগ করতে। স্ফীত হওয়া বুকের নীচে তোমার শরীর যেখানে ধীরে ধীরে অধিক সরু হয়ে নীচে নেমে গিয়ে মজবুত এক ভীতের উপরে শক্ত হয়ে বসেছে তা যেন তোমার দেহকে দুইটি অংশে বিভক্ত করে দিয়েছে। এই দুই অংশের মিলন এমন এক সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটিয়েছে যার বর্ণনা সম্ভব নয়।
তোমার আকর্ষণ আমাকে বারবার শুধু কাছে টানতো। পেতে চাইতাম তোমার সান্নিধ্য তোমারই অজান্তে। কিন্তু তখনওতো চঞ্চলতা তোমার সাঙ্গ ছাড়ে নি। আর ছাড়বেই বা কিভাবে এত তাড়াতাড়ি? তোমাকে পেতাম না কাছে খুব অল্প সময়ের বেশী। আর এতে করে বেড়ে যেতো তোমার প্রতি আকর্ষণ আরো বেশী। স্কার্টের নীচের দৃশ্যমান কোমল ত্বকের আকর্ষণীয় রূপ কাছে টানতো বার বার। না, সৌন্দর্য্য শুধু তোমার চেহারায় নয়, সর্ব অঙ্গে। তখন বুঝি নি, কিন্তু এখন বুঝি- সৌন্দর্য শুধু তোমার অঙ্গে নয়, বরং তা আমার মনে। গোলাপের সৌন্দর্য কে কবে অস্বীকার করেছে? কিন্তু তার সৌন্দর্যে বিহ্বল হয় কয় জনা? যে মন সৌন্দর্যে বিহ্বল হয় তার সৌন্দর্য কে বর্ণনা করবে? যার বিহ্বল হবার মতো মন থাকে সেই বিহ্বল হয়। আমার বিহ্বলতা তোমাকে ঘিরে, তোমার সৌন্দর্যকে ঘিরে, তোমার তুমিকে ঘিরে। এই বিহ্ববলতায় যে সুখ তা যদি তুমি অনুভব করতে পারতে!
তুমি যখন হাসতে তখন সে হাসিতে মুক্তা ঝরতে আমি দেখিনি সত্যি, কিন্তু মুক্তার রূপ আমি দেখেছি বাস্তবে। তোমার সেই হাসির সাথে যদি মুক্তার তুলনা করি তবে তা হবে মিথ্যাচার তোমার হাসির সৌন্দর্যের প্রতি। তোমার হাসি শুধু দৃষ্টিকে নয়, শ্রবনেন্দ্রীয়কেও কাছে টানে সমানভাবে। দৃষ্টি এবং শ্রবনেন্দ্রীয়ের মাধ্যমে তা চলে যায় ভাল লাগার সমস্ত চেতনার সাথে, একাকার হয়ে মিশে যায় তার সাথে। এই অপ্রার্থীব মোহনীয়তাকে এক জাগতিক ব্যবহার্য জিনিসের সাথে তুলনা করতে আমি পারি না।
এখন তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে, আমি কি শুধু তোমার সৌন্দর্যকে ভালবাসি? তোমার সৌন্দর্যের এই যে বিভিন্ন রূপ আমার সামনে ধরা দিয়েছে সেজন্য তোমার প্রতি আমার ভালবাসার সৃষ্টি হয়েছে? অবশ্যই তা নয়। তবে আমার যে ভালবাসা তোমার জন্য তা তোমার মোহনীয় রূপকে অস্বীকার করে অবশ্যই নয়। তুমি কে? তোমার সবটুকু মিলেইতো তুমি। আমি তোমাকে তোমার কোনকিছুকে বাদ দিয়ে কেন চিন্তা করতে যাব? পূর্ণাঙ্গ তুমিতেই আমার আকর্ষণ। সেখানে তোমার রূপ-সৌন্দর্য্য যেমন রয়েছে, তেমন রয়েছে তোমার আচরণ, কথা-বার্তা, চারিত্রিক বৈশিষ্ট ইত্যাদি সব।
No comments:
Post a Comment